অন্ধকারের শহর: একজন ব্যারিস্টারের গোপন জীবন-পর্ব ৩: অন্ধকারের মুখোমুখি

🔹🔹🔹 অন্ধকারের শহর: একজন ব্যারিস্টারের গোপন জীবন

🔹🔹পর্ব ৩: অন্ধকারের মুখোমুখি

Meta Description:
ডেভিড মরগ্যানের রহস্যের পেছনে লুকিয়ে আছে এক ভয়ংকর সংগঠন—The Order।
আইনজীবী শফিক এবার বুঝতে পারবে, ন্যায়বিচারের নামেও হতে পারে রক্তের খেলা।


🔹 অন্ধকারের পর লন্ডন

টেমস নদীর কালো জল রাতের আলো গিলে ফেলছে।
পুলিশের সাইরেন, ভেজা বাতাস আর দূরের ঘড়ির ঘণ্টাধ্বনি—
সব মিলিয়ে শহরটা যেন মৃত মানুষের নিশ্বাস নিচ্ছে।

শফিক সেই নদী থেকে অজ্ঞান অবস্থায় উঠে আসে,
চোখ খোলে এক অচেনা ঘরে।
সাদা দেয়ালে কেবল একটি বাক্য লেখা:





Read more:

“Welcome to The Order.”



🔹 জেগে ওঠা

মাথা কাঁপছে।
কানের পাশে ঠান্ডা ধাতব শব্দ—
সে বাঁধা।

ঠিক তখনই দরজা খুলে কেউ ঢোকে।
মুখে মুখোশ, হাতে ফাইল।

“তুমি আমাদের বিরুদ্ধে গিয়েছো, মি. রহমান,”
কণ্ঠটা যান্ত্রিক।

শফিক উত্তর দিল,

“আমি শুধু সত্য খুঁজছি।”

লোকটি হেসে বলল,

“সত্য?
আমাদের জগতে সত্য বলে কিছু নেই, আছে শুধু আদেশ—The Order।”


🔹 The Order-এর ইতিহাস

লোকটি ফাইল খুলে দেখাল কিছু পুরনো ছবি।
১৮৮০ সালের আদালতের দৃশ্য,
একদল বিচারক কালো পোশাকে দাঁড়িয়ে আছে,
একটি প্রতীকের নিচে—বৃত্তের ভেতর দাঁড়ানো এক চোখ।

“এটাই আমাদের প্রতীক,”
লোকটি বলল।
“আইনের চোখ, যা সব দেখে কিন্তু কিছু বলে না।”

The Order-এর সদস্যরা শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে
বিচার, আইন, এমনকি সরকার পর্যন্ত নিয়ন্ত্রণ করে আসছে।
তাদের মতে, “ন্যায়” মানে নয় সমতা—
ন্যায় মানে স্থিতিশীলতা।


🔹 শফিকের বিচার

একটি কক্ষে তাকে নিয়ে যাওয়া হলো।
চৌকাঠের ওপারে দশজন মুখোশধারী বসে আছে,
কেন্দ্রে কালো পোশাকে এক নারী—
রুকাইয়া!

“রুকাইয়া?”
শফিকের চোখে বিস্ময়।

সে শান্ত গলায় বলল,

“আমি তোমাকে বাঁচাতে পারিনি, শফিক।
তারা আমাকে বাধ্য করেছে এই আদালতের অংশ হতে।”

শফিকের কণ্ঠ ভেঙে গেল—

“তুমি জানো, আমি নির্দোষ!”

“নির্দোষ আর অপরাধী—
এই দুই শব্দ The Order-এর কাছে একই।”

লোকেরা হাত তুলে নিল,
আদালতের মতো কণ্ঠ ভেসে এলো—

“Guilty or Innocent—by the will of Order.”


🔹 অদ্ভুত রায়

আলো নিভে গেল।
চারপাশ অন্ধকার।
শফিক শুধু রুকাইয়ার কণ্ঠ শুনতে পেল—

“তারা তোমাকে মুক্তি দেবে,
কিন্তু এক শর্তে—
তুমি আমাদের হয়ে কাজ করবে।”

“না!”

“তাহলে তোমার মৃত্যুর কপি আদালতে যাবে কাল সকালে।”

তার শরীরের বাঁধন খুলে গেল,
আর দরজা নিজে থেকেই খুলে গেল।
বাইরে লন্ডনের রাত—
কিন্তু এই শহর আগের মতো নেই।


🔹 সত্যের খোঁজে ফিরে আসা

শফিক নিজের চেম্বারে ফিরে এলো।
সবকিছু এলোমেলো।
এমা কোথাও নেই, কম্পিউটার ফাইল মুছে গেছে।

ড্রয়ার খুলতেই একটি নোট পেল:

“They know you are alive.”

তারপর একটি USB ড্রাইভ।
ভেতরে ছিল ভিডিও—
রুকাইয়া পুলিশের হাতে ধরা পড়ছে,
পেছনে The Order-এর লোগো ঝলমল করছে।

“না!”

শফিক বুঝল, এখন তার একটাই কাজ—
এই সংগঠনের মুখোশ খুলে দেওয়া।


🔹 রহস্যের ফাঁদ

শফিক কোর্টে এক নতুন কেস নিল:
“People vs. A. Hudson Foundation”

এই ফাউন্ডেশন আসলে The Order-এর ফ্রন্ট।
দাতব্য প্রতিষ্ঠানের নামে তারা অর্থপাচার,
রাজনৈতিক প্রভাব আর বিচার ব্যবস্থার লেনদেন চালায়।

সে নিজের জীবন বাজি রেখে প্রমাণ সংগ্রহ শুরু করল।
রাতের লন্ডনে, পরিত্যক্ত ভবনে,
পুরনো আর্কাইভে,
শফিক একে একে সত্যের টুকরোগুলো জোড়া লাগাতে লাগল।


🔹 ষড়যন্ত্রের কেন্দ্র

Read more:

একদিন গভীর রাতে,
সে প্রবেশ করল লন্ডন আন্ডারগ্রাউন্ডের এক পুরনো টানেলে।
সেখানে The Order-এর গোপন সভা বসে।
চোখে পড়ল বিশাল ঘর,
মাঝখানে সেই প্রতীক—
বৃত্তের ভেতর দাঁড়ানো চোখ।

সদস্যরা সবাই মুখোশ পরে বসে আছে।
তাদের সামনে একটি স্ক্রিনে দেখা যাচ্ছে লাইভ ভোট:
“Should Shafiq Rahman be eliminated?”

৭ ভোট “Yes”, ৩ ভোট “No”।

তারপর এক পরিচিত কণ্ঠ—

“Stop! I object!”

রুকাইয়া ঢুকল হাতে বন্দুক নিয়ে।

“আমি আর এই মিথ্যার অংশ নই!”


🔹 রক্তের বিচার

সবকিছু মুহূর্তেই বিশৃঙ্খল হয়ে গেল।
বন্দুকের গর্জন,
ধোঁয়া,
আতঙ্ক।

শফিক রুকাইয়াকে টেনে পাশে নিল,

“চলো, এখান থেকে পালাতে হবে!”

তারা টানেলের শেষ প্রান্তে পৌঁছাল।
পেছন থেকে The Order-এর মানুষ ধেয়ে আসছে।
রুকাইয়া থেমে বলল,

“তুমি বেরিয়ে যাও, শফিক।
আমি ওদের থামাব।”

“না, তুমি একা পারবে না!”

“এটাই আমার বিচার।”

সে পেছনে ফিরে তাকিয়ে হাসল—
তার চোখে জ্বলজ্বল করছিল শান্তি।
তারপর এক বিস্ফোরণ—
টানেল কেঁপে উঠল।


🔹 অন্ধকারের মুখোমুখি

Read more:

ধোঁয়ার ভেতর থেকে শফিক হাঁপাতে হাঁপাতে বেরোল।
বাইরে সূর্য উঠছে।
লন্ডনের রাস্তায় পুলিশ, সাংবাদিক, অ্যাম্বুলেন্স।
The Order-এর সদর দপ্তর ধ্বংস হয়ে গেছে।

শফিকের হাতে রুকাইয়ার দেওয়া শেষ চিঠি:

“ন্যায়বিচার তখনই সত্যি হয়,
যখন কেউ নিজের ভয়কে জ্বালিয়ে আলোর পথ দেখায়।”

সে আকাশের দিকে তাকাল,
চোখে জল, মুখে দৃঢ়তা।

“রুকাইয়া, আমি তোমার পথেই চলব।
The Order শেষ হয়নি—আমি শেষ করব।”


🔹 চলবে...

পর্ব ৪: শেষ সাক্ষী (The Last Witness)
🔹 যেখানে শফিক নিজের অতীত, আইন ও সত্যের চূড়ান্ত যুদ্ধের মুখোমুখি হবে।


🔹 Call To Action (CTA)

🔹 আপনি কী মনে করেন —
রুকাইয়া কি সত্যিই মারা গেছে,
নাকি সে আবার ফিরে আসবে শেষ পর্বে?
আপনার অনুমান কমেন্টে লিখে জানান,
আর পর্ব ৪ মিস না করতে ব্লগটি ফলো করুন 🔔


🧠 SEO Keywords:

বাংলা থ্রিলার গল্প, রহস্য গল্প, অন্ধকারের শহর, ব্যারিস্টার গল্প, দ্য অর্ডার, রাজনৈতিক থ্রিলার, মানসিক থ্রিলার, রহস্যময় সিরিজ


Post a Comment (0)
Previous Post Next Post