অন্ধকারের শহর: একজন ব্যারিস্টারের গোপন জীবন, পর্ব ১: রহস্যের শুরু

 

🔹🔹🔹 অন্ধকারের শহর: একজন ব্যারিস্টারের গোপন জীবন

🔹🔹পর্ব ১: রহস্যের শুরু

Meta Description:
লন্ডনের আদালতে এক অদ্ভুত মামলার মাধ্যমে ব্যারিস্টার শফিকের জীবনে শুরু হয় এক ভয়ংকর রহস্য।
সত্য ও মিথ্যার এই লড়াইয়ে কে টিকে থাকবে? পড়ুন এই থ্রিলার গল্পের প্রথম পর্ব।


🔹 লন্ডনের কুয়াশাময় সকাল

Read More:

লন্ডনের আকাশে তখনো কুয়াশার পর্দা ঝুলছে।
টেমস নদীর ধারে পুরনো ভবনগুলোর ছায়া কেমন জানি রহস্যময় লাগছে।
ব্যারিস্টার শফিক রহমান জানালার পাশে দাঁড়িয়ে কফির কাপ হাতে নিয়ে ভাবছিলেন—
আজকের কেসটা হয়তো তার জীবনের সবচেয়ে কঠিন হতে চলেছে।

দশ বছরের অভিজ্ঞতায় তিনি অনেক অদ্ভুত মামলা দেখেছেন।
কিন্তু আজকের ফাইল খুলেই তার ভেতরটা কেঁপে উঠল।
কারণ, মামলার সাক্ষীর তালিকায় একটি নাম—
“মিস্টার ডেভিড মরগ্যান (Deceased)”
অর্থাৎ— মৃত!


🔹 আদালতের প্রস্তুতি

শফিক জানতেন, লন্ডনের হাইকোর্টে কাগজের ভুল মানে কেরিয়ারের শেষ।
কিন্তু এই ভুলটা কেমন যেন ইচ্ছে করেই করা হয়েছে।
ফাইলের নিচে স্বাক্ষর— এক রহস্যময় আইনজীবীর নাম:
এ. হাডসন।
অদ্ভুত বিষয় হলো, লন্ডনের ল’ কাউন্সিলের রেকর্ডে এমন কোনো আইনজীবী নেই।

তিনি নিজের সেক্রেটারিকে বললেন,

“এমা, হাডসন নামের কোনো ব্যারিস্টারের তথ্য বের করো। কিছু একটা ঠিক নেই।”

এমা মাথা নেড়ে দ্রুত বেরিয়ে গেল।
শফিক কফির শেষ চুমুক নিয়ে কোটটা গায়ে দিলেন।
আদালতে যাওয়ার সময় তার মনে হচ্ছিল—
আজকের দিনটা হয়তো তার জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দেবে।


🔹 আদালতের ভেতর

Read Others:

লন্ডন হাইকোর্টের ৩২ নম্বর কক্ষে তখন নীরবতা।
জজের চেম্বার থেকে নাম ডাক পড়ল—
“Case 414: Regina vs. Watson – Defense by Mr. Shafiq Rahman.”

শফিক কোর্টরুমে ঢুকলেন।
অভিযুক্তের আসনে বসা তরুণটির চোখে ভয়।
তার নাম অ্যাডাম ওয়াটসন, অভিযোগ— তার ব্যবসায়িক পার্টনার ডেভিড মরগ্যানকে হত্যা

কিন্তু কেসের মূল জট হলো—
ডেভিড মরগ্যানের মৃত্যু হয়েছে এক বছর আগে, অথচ সাক্ষী হিসেবে আজ আদালতে তার নাম হাজির!


🔹 প্রথম সাক্ষ্য

প্রসিকিউশন টেবিল থেকে এক ভদ্রলোক উঠে দাঁড়ালেন।
তার পরনে ছিল কালো স্যুট, চোখে মোটা ফ্রেমের চশমা।
তিনি বললেন—

“মাই লর্ড, আমাদের কাছে প্রমাণ আছে যে, ডেভিড মরগ্যান জীবিত আছেন এবং কাল রাতে তিনি একটি হোটেলে দেখা গেছেন।”

আদালতজুড়ে গুঞ্জন শুরু হলো।
শফিক হতবাক। তিনি ফাইল উল্টেপাল্টে দেখলেন—
ডেভিড মরগ্যানের মৃত্যুর সার্টিফিকেট, মরচুয়ারি রিপোর্ট, সবই আসল।
তাহলে জীবিত মানুষটা কে?


🔹 রহস্যের শুরু

আদালতের পর শফিক একা বেরিয়ে এলেন।
তার মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে প্রশ্নগুলোর ঝড়।
“একজন মৃত মানুষ আবার জীবিত হলো?”
নাকি— কারো ষড়যন্ত্র চলছে তার ক্লায়েন্টকে ফাঁসানোর জন্য?

বৃষ্টি নামল।
টেমস নদীর ওপর কুয়াশার ভেতর দিয়ে তিনি হাঁটছিলেন,
যখন এক অপরিচিত কণ্ঠ পেছন থেকে বলল—

“মি. রহমান, আপনি ভুল কেসে ঢুকে পড়েছেন।”

শফিক ঘুরে তাকাতেই মানুষটা অদৃশ্য হয়ে গেল।
শুধু একটা খাম পড়ে ছিল পাথরের সিঁড়িতে।
খামের ভেতরে একটি পুরনো ছবি —
একটি মেয়ের মুখ, আর তার নিচে লেখা:
“The witness knows the truth.”


🔹 অতীতের ছায়া

শফিক ছবিটা দেখে থমকে গেলেন।
এই মেয়েটি… সে তো তার অতীতের কেউ!
রুকাইয়া,
পাঁচ বছর আগে যার সঙ্গে তার বাগদান হয়েছিল,
যে এক রাতে হঠাৎ হারিয়ে গিয়েছিল কোন চিহ্ন না রেখে।

সে কি ডেভিড মরগ্যানের সঙ্গে যুক্ত?

শফিক বুঝলেন,
এই মামলাটা কেবল আইনের নয়—
এটা তার জীবনের, তার অতীতের, এবং হয়তো তার বিবেকেরও।


🔹 ক্লু এক

রাতে এমা ফিরে এলো রিপোর্ট নিয়ে।

“স্যার, হাডসন নামে কোনো ব্যারিস্টার নেই।
কিন্তু এই নামটা রেজিস্ট্রিতে ছিল এক সময়— ১৯৭৪ সালে।”

১৯৭৪? মানে প্রায় ৫০ বছর আগে!

শফিক রিপোর্টটা হাতে নিয়ে দেখলেন—
একটা পুরনো ব্ল্যাক–অ্যান্ড–হোয়াইট ছবি।
সেই একই মানুষ, যার সিগনেচার আজকের ফাইলে আছে!

তিনি কাঁপা গলায় বললেন,

“এমা, এই মানুষটা মৃত।”


🔹 ফোন কল

রাত ১২টা।
অফিসের বাতি নিভে গেছে, শুধু ডেস্কের ওপর টেবিল ল্যাম্প জ্বলছে।
ঠিক তখনই ফোন বেজে উঠল।
একটি কণ্ঠ বলল—

“মি. রহমান, সত্য জানতে চাইলে আগামীকাল রাত ১টায়
ব্ল্যাকব্রিজ গলির পুরনো কবরস্থানে আসবেন।
একা আসবেন।”

ফোন কেটে গেল।

শফিক জানতেন,
এই পথে যাওয়া মানে বিপদ।
কিন্তু এখন ফিরে যাওয়া অসম্ভব।
একবার শুরু হয়েছে— এখন থামা যাবে না।

Read another:


🔹 রাতের শহর

রাত একটা।
লন্ডনের অন্ধকার গলি, ভেজা পাথর, টলমলে আলো।
শফিক হাতে টর্চ নিয়ে কবরস্থানে ঢুকলেন।
চারদিকে শুধু বাতাসের শব্দ।

হঠাৎ মাটির নিচ থেকে কেউ যেন ফিসফিস করে বলল—

“আমি মরিনি, মি. রহমান...”

টর্চের আলোতে দেখা গেল—
একটা পুরনো কবরফলকে লেখা নাম—
David Morgan (1972–2023)

কিন্তু কবরের ঢাকনা আধখোলা।
মাটির ভেতর থেকে কারো শ্বাসের শব্দ আসছে।

শফিক পেছনে তাকিয়ে দেখলেন—
একটি ছায়া ধীরে ধীরে এগিয়ে আসছে...


🔹 পরবর্তী পর্বের ইঙ্গিত

হঠাৎ বাতি নিভে গেল, চারদিক অন্ধকার।
একটি হাত তার কাঁধে ছুঁয়ে গেল,
আর একটা কণ্ঠ বলল—

“তুমি দেরি করে ফেলেছো, শফিক...”

পরের মুহূর্তেই সবকিছু থেমে গেল।
শুধু কবরের পাশে পড়ে রইল সেই পুরনো ছবিটি।

🔹 চলবে… (পর্ব ২: সত্যের ছায়া)


🔹 Call To Action (CTA)

🔹 আপনি কী মনে করেন—
ডেভিড মরগ্যান কি সত্যিই জীবিত?
নাকি কেউ এই রহস্যের আড়ালে অন্য খেলায় মেতে আছে?
কমেন্টে লিখে জানান,
আর পর্ব ২ মিস না করতে ব্লগটি ফলো করুন!


🔹 SEO Keywords:

বাংলা থ্রিলার গল্প, রহস্য গল্প, ব্যারিস্টার গল্প, অন্ধকারের শহর, থ্রিলার সিরিজ, লন্ডনের গল্প, রহস্যময় কেস, বাংলা মিস্ট্রি স্টোরি





Post a Comment (0)
Previous Post Next Post