Posts

Showing posts from June, 2025

ভারত ভ্রমণ ৯১ / India Travel 91: দ্বিতীয় খন্ড /Part Two

Image
  দ্বিতীয়  খন্ড  /Part Two ৪ বনগাঁ স্টেশন থেকে কলকাতার উদ্দেশ্যে ট্রেন ধরে আমিন। ভারতের ট্রেন ব্যবস্থা বাংলাদেশের চেয়ে অনেকটাই আলাদা মনে হয় তার কাছে। ট্রেনের ভেতরে ভিন্ন ধরনের পোশাক পরা মানুষ, ভিন্ন ভাষা, এবং একধরনের বর্ণিল পরিবেশ দেখে সে অভিভূত হয়ে পড়ে। ট্রেনের জানালা দিয়ে বাইরের দৃশ্য দেখতে দেখতে সে ভাবে, এই পথ কি তার জীবনের কোনো নতুন দিগন্তের সূচনা করবে? ট্রেনে ১০/ ১১ বছরের কিছু ছেলে ফুল বিক্রি করছিলো।তাদের হাতে রোজনীগন্ধার  স্টিক। আমিন ও তার  মামু জিজ্ঞেস করলো,  " তোরা কোথা  থেকে এসেছিস"। ওরা  বললো,  "বাংলাদেশ থেকে এসেছি।"  আমিন শুনে অবাক হলো। বললো  "তোরা এখানে এসে এই কাজ কেন করছিস"।  উত্তর দিলো,  "বাবা জেঠারা ভিটে মাটি জমি জিরাত বিক্রি করে আমাদের  এখানে নিয়ে এসেছে।"  আমিন বললো, " এখানে কি ভালো আছিস?"  ওরা বললো, ' না দাদা, আগে স্কুলে পড়তাম এখন ট্রেনে ট্রেনে ফুল বিক্রি করি।"  আমিনের একটা ঘটনা মনে পড়লো, তাদের দেশের এক হিন্দু সম্ভ্রান্ত লোক তার ভিটা জমি বিক্রি করে ভারত চলে এসেছে, লোকে বলছে সে নাকি খুব ...

ভারত ভ্রমণ ৯১ / India Travel 91: প্রথম খন্ড /Part One

Image
প্রথম খন্ড /Part One   ১ আমিন ১৯৯১ সালে জীবনের প্রথম বিদেশ ভ্রমণে বের হয়। সেই সময় তার বয়স বিশের কাছাকাছি। ঢাকার ব্যস্ততা, কাজের চাপ, এবং একই রুটিনে ক্লান্ত আমিন সিদ্ধান্ত নেয় একটুখানি মুক্তির স্বাদ নেওয়ার। আমিনের মেঝো বোনের জামাতা অর্থাৎ মেঝো দুলাভাই কানাডা থেকে ঢাকা এসেছিলো তার বোনকে কানাডা নিয়ে যাওয়ার জন্য। আমিনকে সে খুব আদর করতো বললো , "আমরা তো কানাডা যাওয়ার আগে ইন্ডিয়া ট্যুরে যাবো। যেহেতু আ মরা এ ট্যুর হানিমুন হিসেবে ধরবো তাই তোমাকে আমরা সাথে নিতে পারবো না। তোমার কোনো দিকে ট্যুর করা উচিত খরচ আমিই দেব। " আমিন  গন্তব্য ঠিক করে ইন্ডিয়া। তবে আধুনিক ভ্রমণ প্রযুক্তি বা সহজ যোগাযোগ ব্যবস্থা তখন ছিল না, তাই এ যাত্রা ছিল একধরনের অভিযানের মতো।আমিন একা  কিভাবে যাবে?দুলাভাই ই  ঠিক করে দিলেন তার দুঃসম্পর্কের এক আত্মীয় তানভীরকে। কাদির মামার সালা, তাই সম্পর্কে মামা, কিন্তু বয়স কাছাকাছি হয়তো এক বছরের বড়  হতে পারে। যার সাথে হাসি তামাশার কোনো সমস্যা ছিল না, সে আমিনের বন্ধুর মতো।  সকাল বেলা ভারতের ভিসার জন্য ধানমন্ডিতে ভারতীয় দূতাবাসে আমিন একা দাঁড়ালো।  লম্বা লাইন পা...

দুঃসময়

Image
  ২৪/০৬/২০২৫ কখন যে মানুষ দুঃসময়ের মধ্যে পড়বে তা নিজেও সে জানে না। সকালে সূর্যের সুন্দর আলো দেখে বোঝা যায় যে, একটু পরেই প্রচন্ড ঝড় তুফান শুরু হবে তেমনি কোন মানুষই জানে না যে একটু পরে তার জীবনে নেমে আসবে দুর্যোগের ঘন ঘটা।   এশার পরে প্রত্যেকদিনই রাতে একটু আড্ডা দেওয়া হয়।   আড্ডা দিতে দিতে প্রায় সময়ই এগারোটা কিংবা সাড়ে এগারোটা বেজে যায়। বাসায় আসার পরে খাবার খাওয়া, হাত মুখ ধুয়ে বিছানায় যাওয়া এ কাজগুলো করতে করতে একটা বেজে যায়।  প্রতিদিনই চিন্তা করা হয় আগামীকাল যেভাবেই হোক সাড়ে এগারোটা অতিরিক্ত বারোটার মধ্যে শুয়ে পড়বো।  কিন্তু পরের দিনে, একই ঘটনা, সেই রাত একটা পাড়।  এভাবেই দিনগুলি কাটছে ।  গতকাল এভাবেই কাটবে ভাবা হয়েছিল কিন্তু বিধিবাম।  ১ . ১১.৩০-৩.৩০ বাসায় এসে দেখা গেল, ছেলে পরের দিন পরীক্ষার জন্য দুটো পর্যন্ত পড়ার ডিসিশন নিয়েছে। রুম আলাদা সভাপতির সাথে এর কোনো যোগাযোগ নেই। সমস্যা যেটা সেটা স্ত্রী, তাকে পড়ার সময় সঙ্গে দেয়। সে এসে পাশে ঘুমাতে গেলেসভাপতি সাহেবের পাতলা ঘুম ভেঙে যাবে।  বিছানা করে শুয়ে পড়লেন তিনি পাশে স্ত্রী...